বিশেষ প্রতিবেদক :
প্রতি বছরই ভালোবাসা দিবসে পর্যটকমুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। এরই মধ্যে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের শতভাগ বুকিং হওয়ায় এখন চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নানা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে লাইফ গার্ড ও টুরিস্ট পুলিশ।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এমনিতেই পর্যটন মৌসুমের বাড়তি চাপ। তার সাথে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সব মিলিয়ে সৈকত শহরে সাজ সাজ রব।
প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকতে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছেনা। ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। তাই পর্যটকদের জন্য হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো সাজছে ভিন্ন সাজে, থাকছে নানা আয়োজন। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন ব্যবসা হবে জমজমাট।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বার্মিজ আচারের দোকানি শফি আলম বলেন; পর্যটন মৌসুম ও বিশেষ দিবসগুলোর জন্য আমরা অধীর আগ্রহে বসে থাকি। কারণ এসময় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটে। তাই পর্যটকদের বেচাবিক্রি করার জন্য বিপুল পরিমাণ বার্মিজ আচার দিয়ে দোকান সাজিয়েছি। আশা করছি ভালোবাসা দিবসে ব্যবসা ভালো হবে।
বার্মিজ পণ্যের আরেক দোকানি ছুরুত আলম বলেন; সব ধরণের বার্মিজ পণ্য যেমন জুতা, সেন্ডেল, কাপড়সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে। শুধুমাত্র ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি ছুটিতে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করার জন্য।
অন্যদিকে সৈকত সংলগ্ন হোটেল মোটেল জোনেরও সাজ সাজ ভাব। আর হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
হোটেল লং বীচের ম্যানেজার সরওয়ার ইমরান বলেন; সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখন ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে যারা বেড়াতে আসবে তাদের জন্য নানাভাবে সাজানো হয়েছে হোটেলকে। বিশেষ করে পর্যটকদের হোটেলে অভ্যর্থনার পরপরই একটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র গ্যালারি করা হয়েছে, যেখানে পর্যটকদের ছবি তোলা হবে।
হোটেল কক্স টুডের ম্যানেজার আবু তালেব শাহ বলেন; ইতিমধ্যে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। তারজন্য আমাদেরও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে পর্যটকদের আনন্দ দেয়া জন্য সংগীত সন্ধ্যাসহ নানা আয়োজন করা হচ্ছে।
কক্সবাজার ভ্রমণে এসে বেশির ভাগ পর্যটক ভিড় জমান সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে। তাই এই ৩টি পয়েন্টে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানালেন লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা।
কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ড ইনচার্জ মো. শুক্কুর বলেন, আমাদের নিয়মিত লাইফ গার্ডের সাথে বিশেষভাবে ভলান্টিয়ার যোগ করা হবে। যাতে পর্যটকদের সমুদ্র ¯œানে কোন ধরণের দূর্ঘটনা শিকার না হন।
আর টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা জানান বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের কথা মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এবারের ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে পর্যটন নগরীতে প্রায় ৩ লাখের অধিক পর্যটকের আগমন ঘটবে। তাই পর্যটকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা দৃশ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৈকতে থাকবে। তাছাড়া আলাদা সিভিল টিম রাখা হবে হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য।
হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে গত বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে কক্সবাজারে দেড় লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন। তবে এবছর তা ৩ লাখে পৌঁছাতে পারে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-